চারঘাট প্রতিনিধি
চারঘাট এম এ হাদী কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী সাবরিনা আক্তার। অনলাইনে চাকরির আবেদন করতে উপজেলা সদরে আসেন। লোকজনের ভিড়ে এ দোকান ও দোকান ঘুরেও চাকরির আবেদন করা সম্ভব হয়নি তাঁর। পরে তিনি কলেজের সহপাঠীদের কাছে খোঁজ পান ‘তথ্য আপার’। পরের দিন চলে আসেন অফিসে। সেখানে অনলাইনে চাকরির আবেদন করেন বিনা মূল্যে।
সরদহ ইউনিয়নের বাসিন্দা মাহমুদা বেগম স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। কি করবেন? কোথায় যাবেন? এ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। প্রতিবেশীদের কাছে তিনিও সন্ধান পান তথ্য আপার। তথ্য আপার পরামর্শে তিনি তাঁর সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
শুধু সাবরিনা আক্তার বা মাহমুদা বেগম নয় এ রকম শত শত নারী প্রতিদিন তথ্যপ্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা পায় তথ্য আপার অফিস থেকে।
উপজেলা তথ্য আপা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তথ্যকেন্দ্রে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, উপজেলার সরকারি সেবাসমূহের সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণ, ভিডিও কনফারেন্স, ই-লার্নিং, ই-কমার্স ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও তথ্য আপারা ল্যাপটপ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন, ব্যবসা, জেন্ডার ও কৃষি বিষয়ে বিভিন্ন তথ্যসেবা প্রদান করছেন। এই প্রকল্পের আওতায় চারঘাটে এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৫০০ নারীকে বিভিন্ন তথ্যসেবা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা তথ্যসেবা কর্মকর্তা ফাতিমা খাতুন বলেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে অনগ্রসর নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। অফিস কার্যালয়ে ও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে নারীদের বিনা মূল্যে তথ্য-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন প্রকার সেবা প্রদান করে আসছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা সামিরা বলেন, ‘তথ্য আপা প্রকল্প সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য বিশ্বায়নের দ্বার উন্মুক্ত করেছে। তথ্য আপার পরামর্শে নারীরা এখন সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করছেন। এতে নারীদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’