হোম > ছাপা সংস্করণ

পঞ্চগড় হাসপাতালে ঠাঁই নেই

হোসেন রায়হান, পঞ্চগড়

টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর কয়েক দিন বিরতি দিয়ে সাত দিন ধরে পঞ্চগড়ে চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল বুধবারও তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। আর শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত নানা রোগ। জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই পঞ্চগড় সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। তবে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছেন সদর হাসপাতালে। আর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের অধিকাংশই কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বলে জানিয়েছে চিকিৎসকেরা।

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের রোগীর চাপে হাসপাতালের সব শয্যাই পরিপূর্ণ। আর নতুন করে যাঁরা ভর্তি হচ্ছেন তাদের ঠাঁই হচ্ছে মেঝে কিংবা বারান্দায়। হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। শিশুদের সঙ্গে বৃদ্ধরাও আক্রান্ত হচ্ছেন ঠান্ডাজনিত রোগে। শিশুদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসা মায়েদের টিকিট নিতে দেখা গেছে লম্বা সারি। অনেকেই বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন। কোল্ড ডায়রিয়ার আক্রান্ত হওয়ায় অনেক শিশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হচ্ছে। ১০০ শয্যার পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে শিশু শয্যা রয়েছে মাত্র ১৬টি। কিন্তু ১৬ জনের বিপরীতে প্রতিদিন ৪০-৫০ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ছাড়াও প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে দেড় শ থেকে দুই শ শিশুকে। হাসপাতালের মাত্র একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা। এতে রোগী ও রোগীর স্বজনদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অনেকে এখানে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা না পেয়ে বেসরকারি ক্লিনিক অথবা পার্শ্ববর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও রংপুরে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে শিশু শয্যা মাত্র ১৬টি হলেও তা বাড়িয়ে ২৩টির মতো করা হয়েছে। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন শিশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসক সংকট থাকলেও হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ মজুত রয়েছে। জেলা শহরের এই হাসপাতালে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে সেবা দেওয়া খুব কঠিন। বর্তমানে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তারা সবাই মিলে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন।

শহরের কায়েতপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন ও উপজেলার সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়া এলাকার এলিনা আক্তার জানান, গত কয়েক দিন ধরে তাদের সন্তান সর্দি-কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো শয্যা খালি না থাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের কনসালট্যান্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনোয়ারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, পঞ্চগড় শীত প্রবণ জেলা হওয়ায় প্রতি বছর শীত মৌসুমে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর চাপ বাড়ে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর শিশু রোগী বেশি। অধিকাংশ শিশু কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ১৫০-২০০ জন শিশু রোগী আসছে। এদের মধ্যে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু দুই-তিন দিনের চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়িতে যাচ্ছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ মজুত রয়েছে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন