জাহিদ হাসান, যশোর
থরে থরে সাজানো বিভিন্ন স্বাদের পিঠা। একেকটির আকার ও উপাদান একেক রকম। শীত এসেছে বলেই নয়, এখানে পিঠা পাওয়া যায় সারা বছর। জেনে অবাক হবেন। এটি কেবল পিঠা বিক্রির জায়গা নয়, পিঠা নিয়ে গবেষণারও জায়গা। দোচালা সেমিপাকা টিনের ঘরে এখানে কয়েকজন তরুণ-তরুণীর হাত ধরে বছরের পর বছর চলছে দেশীয় ঐতিহ্যের পিঠার সম্ভার ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। শুধু তা-ই নয়, পিঠা সম্পদ সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং নিত্যনতুন পিঠা উদ্ভাবনে কাজ করছেন তাঁরা। এক বছরের গবেষণার সফলতায় তাঁরা দেশীয় পিঠার সম্ভারে যোগ করেছেন নতুন ১৫টি বাহারি পিঠার নাম ও স্বাদ।
পিঠাশিল্প রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে যশোর শহরের খড়কিতে অবস্থিত আইডিয়া পিঠা পার্কের অঙ্গসংগঠন ‘বাংলাদেশ পিঠা গবেষণা ইনস্টিটিউট’। এর মাধ্যমে এ দেশে হারিয়ে যাওয়া এবং নিত্যনতুন পিঠার স্বাদ নিচ্ছেন সব বয়সী মানুষ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পিঠা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পিঠা গবেষণা জোরদারকরণে চলছে নতুন নতুন গবেষণা। পিঠাশিল্প রক্ষায় সরকার একটু উদ্যোগ নিলে পিঠাই হতে পারে আমাদের অর্থনীতির আরেকটি প্রাণশক্তি।
এক বছরে বাংলাদেশ পিঠা গবেষণা ইনস্টিটিউট পিঠার তালিকায় যোগ করেছে নতুন ১৫টি পিঠার নাম ও স্বাদ। এগুলোর মধ্যে আছে তিন ধরনের ইমিউনিটি পিঠা, কুলফি পিঠা, দোলন, চিকেন পাটিসাপটা, আইডিয়া নাড়, আইডিয়া রোজ, চিকেন পুলি, সবজি লতিকা, স্পেশাল সবজি লতিকা, দোসা পিঠা, আইডিয়া বাঁশ কাবাব, ফুচকা পাকান, ঝাল ভাপার মতো বাহারি স্বাদের পিঠা।
পিঠা গবেষণা ইনস্টিটিউট তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন বিভাগে কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সদস্যরা নিজ নিজ বিভাগের স্থানীয় পিঠার তথ্য সংগ্রহ করে নথিবদ্ধ করার কাজ করছেন।