করোনার পর কিংবা ইউক্রেন যুদ্ধের এ সময় পৃথিবীজুড়েই জীবন বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে। একি বিষণ্নতা? বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি একধরনের বিষণ্নতা। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হচ্ছে ডিসথিমিয়া। এটি মৃদু ধরনের বিষণ্নতা কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী। এমন মন খারাপ বা বিষণ্নতা হচ্ছে অনেকের।
এই বিষণ্নতা এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। এর নানান উপসর্গ আছে। যেমন ঘুমের সমস্যা, ক্ষুধা না থাকা, কাজকর্মে মনোযোগহীনতা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে হতাশ ভাব, আত্মহত্যার চিন্তা।
- ডিসথিমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অসম্ভব জানার পরেও থাকে নিখুঁত হওয়ার অন্তহীন প্রত্যাশা। সব ক্ষেত্রে তাদের হয় হাই ফাংশনিং ডিপ্রেশন। কারণ, আক্রান্তরা অসম্ভব সব আকাঙ্ক্ষা করেন। কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে তা মেলে না বলে তৈরি হয় বিশাল ফারাক। এ থেকে তৈরি হয় হতাশা আর নিজের সম্বন্ধে হীন ধারণা।
- আক্রান্ত ব্যক্তিরা হয় পলায়নপর মানসিকতার। সবকিছু থেকে পালিয়ে থাকতে চায় তারা। ফলে বিভিন্ন ধরনের আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ে।
- তাদের সুখের অনুভূতি কমে আসে।
- দুশ্চিন্তা আর অস্থিরতা চলতে থাকে অন্তহীন।
- সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা তৈরি হয়। ভবিষ্যতে কী করা উচিত, সেটা ভাবাও কঠিন হয় আক্রান্তদের।
মুক্তির উপায়
- নিজেকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। বাস্তবতা আর কল্পনার ফারাক বুঝতে হবে।
- জীবনের গুণগত উন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে।
- মনোচিকিৎসকের কাছে যেতে হবে প্রয়োজন হলে। সাইকোডায়নামিক থেরাপি, কগনিটিভ থেরাপি নীরব বিষণ্নতা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
- চিকিৎসকের পরামর্শে বিষণ্নতা রোধক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল