ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
বর্ণাঢ্য আয়োজনে নিউক্লিয়ার ডে বা পরমাণু দিবস পালন করেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। বাংলাদেশের পরমাণু ক্লাবে প্রবেশের দিনটিকে স্মরণ করে নিউক্লিয়ার ডে হিসেবে পালন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর প্রকল্পে দিনভর নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
গতকাল সকালে একঝাঁক পায়রা উড়িয়ে ও শোভাযাত্রা বের করে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ড. ইয়াফেস ওসমান। এরপর পারমাণবিক বিদ্যুৎ নিয়ে টেকনিক্যাল সেশনে বিশেষ আলোচনা, খেলাধুলা, মধ্যাহ্নভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধন পর্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার পি এম ইমরুল কায়েস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, এএসইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রূপপুর প্রকল্পের রাশিয়ান প্রকল্প পরিচালক আলেক্সি দেইরিসহ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানী, সেনা অফিসার ও কর্মকর্তারা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের কংক্রিট ঢালাইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব পরমাণু ক্লাবে সংযুক্ত হয়েছে। আর এ কারণেই দিনটিকে স্মরণ করে পরমাণু দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয়।
ইয়াফেস ওসমান আরও বলেন, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পটি বাংলাদেশের গর্বের একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে নিউক্লিয়ার ক্লাবের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
প্রকল্প পরিচালক ড. সৌকত আকবর বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের সর্ববৃহৎ এ প্রকল্পের কাজ নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে চলছে।
রূপপুর প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ভিভিইআর-১২০০ মডেলের দুটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন করা হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায়। রাশিয়ার ডিজাইন ও তাঁদের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় দেশের প্রথম এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে বাংলাদেশ।