মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা পর্যটন মৌসুমে মুখর থাকে কুয়াকাটা সৈকত। আর এই সময়ে পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক নিয়ে।
পর্যটকদের ভিড় হলেই নেটওয়ার্কে ধীরগতি আবার কখনো বন্ধ হয়ে যায় সেবা। শুধু তা-ই নয়, ব্রডব্যান্ড পরিষেবাতেও ধীরগতি চলে আসে ওই সময়ে।
পর্যটক ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি, উচ্চগতিসম্পন্ন মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক স্থাপন করে পর্যটকদের ভোগান্তি লাঘব করা হোক।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিনই নাগরিক কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে কুয়াকাটায় ভিড় করছেন দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটক। সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা বিশেষ কোনো ছুটিতে ছুটে আসেন তাঁরা। তবে পর্যটকদের ভিড় বাড়লেই মোবাইল ফোন থেকে উধাও হয়ে যায় নেটওয়ার্ক।
ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা মেহেদী হাসান শুভ বলেন, ‘কুয়াকাটায় বন্ধুরা মিলে ঘুরতে এসেছি কিন্তু এসে দেখলাম এখানে মোবাইল নেটওয়ার্কের অবস্থা খুবই খারাপ। সকাল থেকে পরিবারের সঙ্গে কথা বলব, তাও পারছি না। পর্যটন এলাকায় এ রকম ভোগান্তি পোহাতে হয় আগে জানতাম না।’
খুলনা থেকে আসা রেহেনা জলি বলেন, ‘কোনো অপারেটরের সেবাই ভালো না, এরা শুধু বিজ্ঞাপন দেয় কিন্তু বাস্তবে নাজেহাল। অপারেটরগুলোকে পর্যটনসংশ্লিষ্টদের চার্জ করা উচিত।
না হলে এ রকম অবস্থা চলতে থাকলে পর্যটক হারাবে কুয়াকাটা।’
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, কুয়াকাটায় ভ্রমণে আসা পর্যটকেরা প্রতিদিনই অভিযোগ করেন মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। ইতিমধ্যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শেখ আব্দুল্লাহ্ সাদীদ বলেন, ‘কুয়াকাটায় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের অভিযোগের বিষয়ে আমরা জানি। সরকারি-বেসরকারি সব টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে সভা করা হবে। সরেজমিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’