অনলাইন ডেস্ক
গত বছর আদানি গ্রুপের শেয়ারের ব্যাপক ধসের কারণ হয়েছিল মার্কিন শর্ট-সেলিং প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের একটি প্রতিবেদন। সে সময় আদানি গ্রুপ প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছিল। তবে সম্প্রতি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা ন্যাট অ্যান্ডারসন তাঁর প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। এর পরপরই আজ বৃহস্পতিবার ভারতীয় বাজারে আদানির শেয়ারের দাম ৯ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম ৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর পেছনে কারণ ছিল, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শর্ট-সেলিং প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের বন্ধ হওয়ার ঘোষণা।
গতকাল বুধবার হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডারসন এক পোস্টে জানান, তিনি প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করছেন এবং নিজের ব্যক্তিগত জীবনে বেশি মনোযোগ দিতে চান। তিনি বলেন, ‘হিন্ডেনবার্গ আমার জীবনের একটি অধ্যায়, এটি আমাকে সংজ্ঞায়িত করার কেন্দ্রবিন্দু নয়।’
অ্যান্ডারসন তাঁর নোটে বলেন, তাদের কাজের ফলে প্রায় ১০০ জন বিলিয়নিয়ার ও অলিগার্ক ফৌজদারি বা নাগরিক মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি লিখেন, ‘আমরা এমন কিছু সাম্রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছি যেগুলো আমাদের মনে হয়েছিল নাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। সময়ের সঙ্গে মানুষ বুঝতে পেরেছে যে, পরিবর্তন আনা সম্ভব, আপনি যেই হন না কেন।’
এদিকে, অ্যান্ডারসনের ঘোষণার পরপরই আদানি গ্রুপের শেয়ারের দামে ব্যাপক উল্লম্ফন ঘটে। এর মধ্যে আদানি পাওয়ারের শেয়ার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, প্রায় ৯.২ শতাংশ। এর ফলে, একটি শেয়ারের দাম ৬০০ রুপির কাছাকাছি পৌঁছেছে।
এ ছাড়া, আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ারের দাম ৭ দশমিক ৭ শতাংশ, আদানি গ্রিন এনার্জি ৮ দশমিক ৮ শতাংশ, আদানি টোটাল গ্যাস ৭ দশমিক ১ শতাংশ, আদানি এনার্জি সলিউশনস ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, আম্বুজা সিমেন্টস ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, এএসসি ৪ দশমিক ১ শতাংশ এবং এনডিটিভির শেয়ারে ৭ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে।
এর আগে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রায় ২১৮ বিলিয়ন ডলার জালিয়াতি, শেয়ার কারসাজি, কর ফাঁকির জন্য শেল কোম্পানি ব্যবহার, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ করেছিল। এ ছাড়া, তারা ভারতের শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির (এসইবিআই) চেয়ারম্যান মাধবী পুরী বুচের বিরুদ্ধে আদানি গ্রুপে তার পূর্বের বিনিয়োগের কারণে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ তোলে।