অনলাইন ডেস্ক
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই অভিষেক অনুষ্ঠানের আগেই নিজের নামে ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হবু ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে নিজের নামে ($মেলানিয়া) ক্রিপ্টোকারেন্সি চালুর ঘোষণা দেন তিনি।
ক্রিপ্টোকারেন্সির ডেটা ট্রেকার কোম্পানি কয়েন মার্কেট ক্যাপ অনুসারে, এই ক্রিপ্টোকারেন্সির মোট বাজারমূল্য প্রায় ২১০ কোটি ডলার।
গত ১৭ জানুয়ারি নিজের নামে মিমকয়েন ($ট্রাম্প) চালু করেন ট্রাম্প। এই কয়েনের চালুর দুই দিনের মধ্যেই বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান ডিজিটাল মুদ্রা হয়ে উঠেছে এই ক্রিপ্টো টোকেন। তাঁর নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারমূল্য প্রায় ১ হাজার ৮৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এই দুটি মুদ্রার মূল্যমান বাড়লেও লেনদেনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
একটি মিমকয়েন হলো—এমন একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি যা মূলত মজা বা হাস্যরসের জন্য তৈরি করা হয়, প্রায়ই ইন্টারনেট মিম বা ভাইরাল ট্রেন্ড থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই মিমকয়েন তৈরি হয়। এই কয়েনগুলোর সাধারণত কোনো গুরুতর ব্যবহার ক্ষেত্র বা ভিত্তি প্রযুক্তি থাকে না। তবে বিভিন্ন গ্রুপের সমর্থন, হাস্যরস বা সামাজিক মাধ্যমের ট্রেন্ডের কারণে এগুলো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মিমেকয়েনের সবচেয়ে জনপ্রিয় উদাহরণ হলো ডজিকয়েন, যা মূলত ‘ডজি’ নামক জনপ্রিয় মিমের ওপর ভিত্তি করে শিবা ইনু কুকুরের ছবি দিয়ে একটি প্যারোডি হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। ট্রাম্পের সমর্থক ইলন মাস্ক এই কয়েনের প্রচার–প্রচারণা করেন। তাই গত বছরে শেষ দিক থেকে এই কয়েনটির মূল্যও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
ট্রাম্প এর আগে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ‘কেলেঙ্কারি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সির বিপক্ষে ছিলেন। তবে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের মনোভাব পুরোপুরি বদলে যায়। ওই সময় তিনি ইতিহাসের প্রথম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ডিজিটাল সম্পদে নির্বাচনী অনুদান গ্রহণ করেন।
সম্প্রতি, ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি মিমকয়েনগুলোকে ‘বিনিয়োগ’ হিসেবে দেখছেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে নিয়ন্ত্রকেরা ক্রিপ্টো কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ এনে এক্সচেঞ্জগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি