পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ৯ম উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। তিনি ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি এবং কাগাওয়া মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্টডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। পবিপ্রবির সার্বিক অবস্থা নিয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মীর মহিবুল্লাহ।
আপনি প্রায় ৪ মাস হলো নিয়োগ পেয়েছেন। কী কী পরিবর্তন আনলেন?
আমার এই ৪ মাসের মধ্যে পবিপ্রবিকে বিশ্বমানের এবং ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, যা বর্তমানে দৃশ্যমান। সেগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং শিক্ষা ও গবেষণা পাঠদানের জন্য যে ক্লাসরুমগুলো আছে, সেগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ বছর ৭ মাসে ধরে যে অনিয়ম চলছিল; শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রদের মধ্যে যে অস্থিরতা ও হীনম্মন্যতা কাজ করছিল, সেটি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রতিটি শাখায় ভিজিট করে অফিসের সময়টা নিশ্চিত করেছি। শিক্ষকদের শিক্ষায় ও গবেষণায় উজ্জীবিত করা এবং উন্নয়নে কাজগুলো নিয়মিত তদারকি করে চলছি। সঙ্গে সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের আনাগোনা এবং মাদকের যে একটা আখড়া ছিল, সেটিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দমন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাবুগঞ্জ ও মেইন ক্যাম্পাসকে র্যাগিংমুক্ত করেছি। মাদক ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।
দীর্ঘদিন পর অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য পেল পবিপ্রবি। আপনাকে কীভাবে গ্রহণ করল? সবার সহযোগিতা কতটা পাচ্ছেন?
এককথায় বলব, আমাকে খুশিমনে গ্রহণ করেছে। আমি যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, সেগুলোর প্রতি সাড়া দিয়েছেন প্রো-উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টরিয়াল বডি, অ্যাডভাইজরি বডি, প্রভোস্ট কাউন্সিল, সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী—সবাই। তাঁদের সহযোগিতা শুধু অফিশিয়াল সময়েই নয়, রাত ১২টা-১টা পর্যন্তও প্রশাসনিক বডিগুলো কাজ করছে। আমিসহ আমার বর্তমান প্রশাসনের যে চাওয়া, তা হলো বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নেওয়া। তাঁরা বিষয়টি অনুধাবন করে সার্বিক সহযোগিতা করছেন, যা প্রমাণ করে, পবিপ্রবির পরিবার আমাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হলো পবিপ্রবি। এখানে দুই ধরনের শিক্ষার্থী ভর্তি হয়—কৃষি গুচ্ছ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছ থেকে। এ ছাড়া এখানে অনেক মেধাবী শিক্ষক রয়েছেন এবং গবেষণার জন্য ভালো সুযোগ রয়েছে। আমি দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কাজ করব। পবিপ্রবির গবেষণার ফল সারা দেশসহ বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য। ক্লাসরুম এবং গবেষণাগারগুলোর শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ তৈরি করা খুবই জরুরি, যার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত অর্থায়ন।
কাজের অগ্রাধিকার পর্যায়ক্রমে কী কী?
প্রথম অগ্রাধিকার হলো শিক্ষা ও গবেষণা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে করোনার সময়ের কারণে ছাত্রছাত্রীদের জীবনে যে সময় নষ্ট হয়েছে, সেটি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য দ্রুত ক্লাস, পরীক্ষা ও ফলাফল দেওয়া। তৃতীয়ত, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গঠন করা। মাদক নিরোধের লক্ষ্যে আমরা প্রথমে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি নিয়েছি এবং ভবিষ্যতে এটি শতভাগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। চতুর্থত, র্যাগিংমুক্ত হলের পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে সমাধান করা। পঞ্চমত, শিক্ষকদের গবেষণায় উৎসাহিত করা এবং তাদের উপযুক্ত পুরস্কৃত করা। এ ছাড়া যারা ভালো কাজ করবে বা এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিতে অংশ নেবে, তাদেরও পুরস্কৃত করা হবে। এভাবেই আমি পবিপ্রবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
অতীতের অনেক অনিয়ম, অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত হলেও প্রতিবেদন জমা হতো না। এ ব্যাপারে আপনার উদ্যোগ থাকবে কি না?
আমি আসার পরপরই তদন্ত কমিশন-২০২৪ গঠন করেছি। সেই কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব অনিয়মের তদন্ত করা এবং দ্রুত রিপোর্ট জমা দিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। ১৫ বছরের অনিয়মের কারণে শিক্ষার পরিবেশ ও প্রশাসনিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারে কিছুটা সময় লাগছে, তাই প্রতিবেদনগুলোতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটিগুলো বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করছি, শিগগির এর ফল প্রকাশ পাবে। একই সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করা হবে।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি হবে কি না?
ভর্তি পরীক্ষার যে দুর্নীতি ঘটেছে, তার তদন্ত চলছে এবং গোয়েন্দা সংস্থাও তথ্য সংগ্রহ করছে। অনেক অগ্রগতি হয়েছে, যা কিছুদিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে এই বিষয়ে এখন বিস্তারিত কিছু বলা ঠিক হবে না।
শিক্ষার্থী দেবাশীষ মণ্ডলের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?
দেবাশীষের আত্মহত্যা, কেন চাকরি পায়নি এবং তার চাকরি নিয়ে ঘুষ কেলেঙ্কারির কয়েকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এসব নিয়ে আমাদের তদন্ত কমিটির একটি উপকমিটিকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইনশা আল্লাহ খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
থেমে থাকা কনস্ট্রাকশনের কাজের কী অবস্থা? দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেবেন?
আমি এসেই থেমে থাকা কাজগুলো চালুর লক্ষ্যে অধ্যাপক মো. জামাল হোসেনকে তদারকির দায়িত্ব দিয়ে এবং সকল ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্ট্রাকশন কনসালট্যান্সি ফার্মের বিভিন্ন পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ার এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছি। বর্তমানে কনস্ট্রাকশন কাজগুলো দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমার প্রশাসনের সব পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এ ছাড়া আমার কাছে নতুন করে কোনো প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নেই। তবে কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। আমরা দুদককে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছি। এ ছাড়া সবার ওপর আমাদের বর্তমান প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে।
ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আলোচনার সময় শিক্ষকরাজনীতির প্রসঙ্গও এসে যায়। আমরা দেখেছি, শিক্ষকরাজনীতিতে দল ভারী করতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। শিক্ষকনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদ পেতে নির্লজ্জভাবে দলকানা হয়ে ওঠেন। এটা ঠেকাবেন কী করে?
এটা ঠেকানো খুবই কঠিন। তবে আমাদের শিক্ষকদের বোঝা উচিত, আমরা প্রথমে শিক্ষক। সেখানে শিক্ষকতা ছাড়িয়ে রাজনীতি আমাদের পেশা হওয়াটা সমীচীন নয়। আমার মনে হয়, যাঁরা একটি পোস্ট ও পজিশনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন, তাঁদের সে অপরাজনীতি বাদ দিয়ে বর্তমান প্রশাসনকে সহযোগিতা করা উচিত। কারণ, এর আগে যা হয়েছে তা ভুলে যান। আমার আমলে এমন কিছু হতে দেব না। আগে এসব কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা থেকে পিছিয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
ক্যাম্পাসে রাজনীতি কবে শুরু হবে? ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন কি না?
সরকার চাইলে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রদের রাজনীতি ক্যাম্পাসে উন্মুক্ত হবে, এর আগে নয়। এ ছাড়া ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে ইউজিসি ও মন্ত্রণালয় থেকে যদি নির্দেশনা আসে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকশিত করার বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটি এবং অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম চালু রয়েছে।
বহিরাগতরা বিগত দিনে পবিপ্রবির সবকিছুতেই হস্তক্ষেপের পাশাপাশি উপাচার্যকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই ৪ মাসে আপনার সঙ্গে এমন হয়েছে কি না?
এখন পর্যন্ত বহিরাগতদের কোনো চাপ অনুভব করছি না। নিঃসংকোচে নির্দ্বিধায় আমার মেধা, যোগ্যতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। গত ৪ মাসে শতভাগ অনিয়ম দূর করা সম্ভব না হলেও এসব দূরে ঠেলে কাজ করছি।
রেজিস্ট্রার একটি দাপ্তরিক পদ। সেখানে কর্মকর্তা না বসিয়ে সব সময় কেন শিক্ষকেরা বসছেন?
আমি কাউকেই খাটো করে দেখছি না। গত ১৫ বছরে দাপ্তরিক যে অসংগতি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা দূর করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন পজিশনে শিক্ষকদের দ্বারাই সেটা দূর করা সম্ভব বলে মনে করি। আমি ভালো মানুষগুলোকে সিলেকশন দিয়েছি, তাঁদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় একটি পজিশনে এলে পরবর্তী সময়ে বিকল্প চিন্তা করব।
২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় আপনার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লিড নিউজ হয়েছিল ‘এ যেন পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে। এই পরিবারেতন্ত্রের সিন্ডিকেট কীভাবে ভাঙবেন?
উত্তর: এই সিন্ডিকেটকে ভাঙার চেষ্টা করছি। সামনে যাতে এ রকম আর না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
৫ আগস্টের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের বলে অভিযোগ রয়েছে। আপনি আসলে কোনো দলের সঙ্গে জড়িত কি না?
আমি আগেই বলেছি প্রথমে আমি একজন শিক্ষক ও গবেষক। আমি একজন মানুষ হিসেবে আমার নিজস্ব স্বকীয়তা থাকতেই পারে।
পবিপ্রবিতে দলমত-নির্বিশেষে সব সময় দুটি গ্রুপ থাকে যেমন ভিসি গ্রুপ ও ভিসিবিরোধী গ্রুপ। বর্তমানে আপনার কোনো গ্রুপ তৈরি হয়েছে কি না?
ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে সবারই চাওয়া পাওয়া থাকে। কারও থাকে নিয়মতান্ত্রিক, কারও অনৈতিক। আপনি যখন নিয়মতান্ত্রিক সব চাওয়া পাওয়াই পূরণ করতে পারবেন না, আর অনৈতিক তো প্রশ্নই আসে না। তখনই আপনার শত্রু জন্মাবে এবং ভিসিবিরোধী দল তৈরি হবে। বিরোধিতা আমার করতেই পারে, সেটা আমি ঠেকাতে যাব না। বিরোধিতাই আমাকে সঠিক পথে পরিচালনা করবে, সব সময় আমাকে সচেতন রাখবে। তবে আমি কোনো গ্রুপ করার পক্ষপাতি নই। আমি আমার মেধা, প্রজ্ঞা, যোগ্যতা ও সততা দিয়েই সবার গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে চাই।
সর্বশেষ অবৈধ নিয়োগের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
সে সময় আমি ছিলাম না, তবে নিয়োগটি নিয়ে আমাদের প্রশ্ন আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আদালতের কিছু অবজারভেশন আছে। তাঁদের সুপারিশের আলোকে আশা করি ভবিষ্যতে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে আপনি কী বলবেন?
প্রথমেই বলব আমি এবং বর্তমান প্রশাসন হলাম এই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একটি ফল। একটি পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন। আমার বর্তমান প্রশাসন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের রক্তের ফল। আমরা তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের স্বাধীনতা ও নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে একই সূত্রে গাঁথা এই জুলাই-আগস্ট চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের পাশে বিত্তবানদের দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।
সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু বলুন।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকমুক্ত, র্যাগিংমুক্ত থেকে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে জ্ঞান আহরণের জন্য তোমরা এসেছো, জ্ঞান নিয়ে সারা পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে পড়বে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখবে। সঙ্গে সঙ্গে তোমার এবং তোমার পরিবারের উন্নয়নের জন্য ভালো কাজে এগিয়ে যাও। অপরাজনীতি ও অপসংস্কৃতি থেকে দূরে থাকবে, যা বর্তমান পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।