আপনি কি লিখতে পারেন? নানান বিষয় নিয়ে আগ্রহ আছে? ব্লগ বা সাইটের কথা ভাবছেন? কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো, ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়,
এ সকল প্রশ্নের উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে আপনি ব্লগিং করতেই পারেন। ইংরেজি বা বাংলা যেকোনো ভাষায় ব্লগিং করে আয় করতে পারেন সহজে।
যেভাবে শুরু করতে পারেন
ব্লগ করার জন্য ওয়েবসাইট প্রয়োজন। আপনি চাইলে ফ্রি ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন। আবার নিজে ডোমেইন-হোস্টিং কিনেও ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। গুগল করলেই ফ্রি সাইট তৈরির অনেক লিংক পেয়ে যাবেন। যেমন ব্লগার ডট কম। আপনি এসব লিংকে ঢুকে নিজের পছন্দমতো সাইট তৈরি করে নিতে পারবেন।
ডোমেইন-হোস্টিং কিনে ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্লগিং করা মানে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। ধরুন, আপনি শিশুর পরিচর্যা নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন। ডোমেইন কেনার সময় ‘বেবিকেয়ার’ বা এ রকম শব্দযোগে ডোমেইন কিনতে পারলে তা গুগলে র্যাংক করতে সহজ হবে। এতে পরে আয়ের ক্ষেত্রেও আপনি এগিয়ে থাকবেন।
ওয়েবসাইট তৈরিতে পরিচিত ডেভেলপারদের সহায়তা নিতে পারেন। চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ব্যবহার করে ওয়েবসাইট বানাতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন করার ক্ষেত্রে আপনি কোনো ধরনের প্রোগ্রামিং না জানলেও সমস্যা নেই।
লেখার বিষয় নির্ধারণ
বিষয়টা এমন নয় যে আপনি পছন্দমতো নানা বিষয়ে লিখছেন। এভাবে লিখলে ওয়েবসাইটে পাঠক বাড়ার সম্ভাবনা কম। বিষয় নির্দিষ্ট করে লিখলে ওয়েবসাইটে পাঠক বাড়বে। বিষয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিজের আগ্রহ, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানাশোনার পাশাপাশি মানুষের কাছে বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা চিন্তা করা জরুরি। আবার বিষয়টিকে ভেঙে যতটা পারা যায় সুনির্দিষ্ট করলে ভালো হয়। ধরুন, আপনি খেলা নিয়ে লিখতে চান। এবার ভাবুন কোন খেলা নিয়ে লিখবেন। সেটা যদি ক্রিকেট হয়, সেখান থেকে আরও নির্দিষ্টভাবে বিষয়টি ‘ক্রিকেটের ইতিহাস’ হতে পারে; কিংবা এ রকম অন্য কিছু।
আয় করার উপায়
আপনার ওয়েবসাইট যত মানুষের কাছে পৌঁছাবে, তত আপনার আয় সহজ হবে। ব্লগিং করে আয়ের নানা উপায় ধাপে ধাপে সামনে আসে। প্রথমত, আয়ের উৎস হতে পারে গুগল। গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করলে তারা ওয়েবসাইট রিভিউ করবে। সব ঠিক থাকলে বিজ্ঞাপনের অনুমোদন পাবেন। গুগলের মাধ্যমে আপনার সাইটে যেসব বিজ্ঞাপন আসবে, তাতে কেউ ক্লিক করলে আপনি তা থেকে আয় করতে পারবেন। গুগল একটা সময় পরে তা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেবে।
আপনার ওয়েবসাইট যদি জনপ্রিয় হয়, তাহলে স্পনসর নিতে পারবেন। স্পনসরশিপ আপনার আয়ের বড় মাধ্যম হতে পারে। এ ছাড়া এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আপনি আয় করতে পারেন। আপনি যে বিষয়ে লিখছেন, সে বিষয়সংশ্লিষ্ট কোনো পণ্য বা সেবার লিংক আপনার লেখায় যুক্ত করতে পারেন। এই লিংকের মাধ্যমে যদি কেউ পণ্য বা সেবা নেন, তাহলে আপনি সেখান থেকেও আয় করতে পারবেন।
ক্যারিয়ার হিসেবে ব্লগিং
ব্লগিং আপনার ক্যারিয়ার হতেই পারে। সে ক্ষেত্রে জরুরি বিষয়গুলো হলো:
প্রযুক্তির খবর সম্পর্কিত আরও পড়ুন: