হোম > প্রযুক্তি

জিপিএসের ভালোমন্দ

আরীব ওয়াদুদ

কোনো কিছু সহজে খুঁজে বের করার উপায় জিপিএস বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম। এই ‘কোনো কিছু’র মধ্যে আছে রাস্তাঘাট, ঠিকানা, গাড়ি এমনকি আপনি নিজে!

এটি একটি স্যাটেলাইটভিত্তিক নেভিগেশন সিস্টেম। স্মার্টফোন ব্যবহারকারী, পরিবহন প্রতিষ্ঠান, হোম ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান, জরিপকারী, বিজ্ঞানী, পাইলট—কে এই জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করে না! 

জিপিএসের শুরু ও কাজ 
১৯৬০ সালে প্রথম হাতে নিলেও ১৯৭৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক বাহিনীর সুবিধার জন্য জিপিএস প্রজেক্ট শুরু করেছিল। এর মাধ্যমে তারা শত্রুদেশের সামরিক জাহাজ, প্লেন, ট্যাংকার ইত্যাদির অবস্থান নির্ণয় করত। সেই যন্ত্রের নাম ছিল লাভাস্টার জিপিএস। ১৯৯৫ সালে ২৪টি স্যাটেলাইটের সমন্বয়ে সৃষ্ট জিপিএস নেটওয়ার্কটিকে পৃথিবীর সব জায়গা থেকে ব্যবহারযোগ্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সিস্টেম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তখন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তত দিনে এই নেটওয়ার্ক যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে গেছে। জিপিএস ২৭টি স্যাটেলাইট ও রিসিভারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। এর মধ্যে ২৪টি অ্যাক্টিভ এবং ৩টি রিজার্ভ রাখা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে অবস্থিত স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং স্টেশন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী স্যাটেলাইটগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং করে। ভারতও নিজের স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জিপিএস চালু করতে সক্ষম হয়েছে।

ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ হাজার কিলোমিটার ওপরে ছয়টি অরবিটে ২৪টি স্যাটেলাইট আছে, যেগুলো পৃথিবীর চারদিকে ২৪ ঘণ্টায় দুবার করে ঘুরছে। অরবিটগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো সময় তিন থেকে চারটি স্যাটেলাইট দৃশ্যমান হয়। স্যাটেলাইটগুলো এল-১ ও এল-২—এই দুই ধরনের সংকেত পাঠাচ্ছে। এই সংকেতগুলো আসে আলোর গতিতে। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ৩ লাখ কিলোমিটার গতিতে। প্রতিটি সংকেত পাঠানোর সময় লেখা থাকে।

জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করে সহজে মানচিত্র তৈরি করা যায়। যেকোনো দেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্রতিরক্ষা। কোনো দেশকে সুরক্ষিত রাখতে জিপিএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবহাওয়াসংক্রান্ত তথ্য জানতে, পরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে, দুর্গত এলাকা পরিদর্শন, সঠিক অবস্থান নির্ণয়, জীবনযাপনের ক্ষেত্রে, শহর পরিকল্পনাসহ আরও অনেক কাজে এই সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। বড় বড় শহরকে উন্নত করতে এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।

সুবিধা-অসুবিধা
পৃথিবীতে আবিষ্কৃত প্রায় সব জিনিসের যেমন সুবিধা থাকে, কিছু অসুবিধাও থাকে। জিপিএসেরও রয়েছে সুবিধা-অসুবিধা। সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি হলো, অন্যান্য নেভিগেশনের তুলনায় এর দাম অনেক কম। তাই স্মার্টফোন ও স্মার্টওয়াচে এটি ব্যবহার করা হয়। জিপিএস স্যাটেলাইটের সাহায্যে কাজ করে, তাই এটি বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ব্যবহার করা যায়। এটি কোনো পথের খুঁটিনাটি তথ্য দেয়, ফলে গাড়ি চালানো অনেক সহজ হয়ে যায়। এর বাইরেও অনেক সুবিধা রয়েছে জিপিএস সিস্টেমের।

আর অসুবিধাগুলোর মধ্যে আছে, অনেক সময় জিপিএস ঠিকমতো কাজ করে না। এমন অবস্থায় আপনি যদি গাড়ি চালান, তাহলে সামনের পথ খুঁজে পেতে সমস্যা হতে পারে। যেকোনো জিপিএস ডিভাইস চালানোর জন্য ব্যাটারি ও ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়। এর কোনোটি না থাকলে জিপিএস সিগন্যাল দিতে পারে না। এই সিস্টেম আপনার গোপনীয়তা নষ্ট করতে পারে। এর সিগন্যাল বড় ও পুরু দেয়াল ভেদ করতে পারে না।

সূত্র: জিপিএস ডট গভ, ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন

২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ লাখ আইটি পেশাদার তৈরি করবে সরকার

চলতি বছরে শক্তিশালী ব্যাটারি প্রযুক্তি নিয়ে আসবে যেসব অ্যান্ড্রয়েড ফোন

ফুঁ দিয়ে গরম কফি ঠান্ডা করে দেবে এই বিড়াল রোবট

এক্সের অ্যালগরিদম সম্পর্কিত তথ্য চেয়েছে ইউরোপীয় কমিশন

যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম বন্ধ হবে, তবু বিক্রিতে রাজি নয় টিকটক

সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য হাতিয়ে নিতে রুশ হ্যাকারদের নয়া কৌশল

ফেসবুক প্রোফাইলে মিউজিক যুক্ত করবেন যেভাবে

স্যামসাংয়ের মিড রেঞ্জ ট্যাবের চিপসেট সম্পর্কে যা জানা গেল

সার্চ ইঞ্জিনের বাজারে আধিপত্য কমল গুগলের, মাইক্রোসফটের শেয়ার বাড়তি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফ্যাক্টচেকিং আইন মানবে না গুগল

সেকশন