অনলাইন ডেস্ক
ছোট ছোট পরিবেশবান্ধব উদ্যোগই পারে পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখতে। এতে সামান্য হলেও অবদান রাখতে চান তরুণ উদ্যোক্তা অ্যাডাম রিজওয়ে। ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল বানিয়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ কমাতে চান তিনি। সে লক্ষ্যে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নিজের স্টার্টআপ ওয়ান মোটো।
এ বিষয়ে অ্যাডাম রিজওয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, প্রতিদিন ১৫ হাজার পেট্রোলচালিত মোটরসাইকেল ও স্কুটার দুবাইয়ের রাস্তায় চলাচল করে। এতে ১৬ হাজার ৫০০ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হয়। এই পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করতে ২ লাখ ৭০ হাজার গাছের ১০ বছর সময় প্রয়োজন।
মোটরসাইকেলের দাম কম। ফলে সাশ্রয়ী বাহন হিসেবে এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। তাই মোটরসাইকেল থেকে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিয়ে অনেকেই মাথা ঘামান না। বর্তমানে বিশ্বে ২৭ কোটি মোটরসাইকেল রয়েছে। এগুলো থেকে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিবেশের ক্ষতি করছে।
ভবিষ্যতে কম পথের দূরত্ব পাড়ি দিতে মোটরসাইকেলের ব্যবহার আরও বাড়বে বলে মনে করেন রিজওয়ে। বর্তমানে ই–শপ থেকে মানুষ পণ্য কিনছে হরদম। এসব পণ্য বাড়ির দরজায় পৌঁছে দিচ্ছে যে মানুষটি, তিনিও বাহন হিসেবে অনেক ক্ষেত্রেই বেছে নিচ্ছেন মোটরসাইকেলকে।
এ বিষয়ে রিজওয়ের ভাষ্য, ‘ডেলিভারি মোটরসাইকেল থেকে পরিবেশ দূষণের প্রসঙ্গটি চোখ এড়িয়ে যায়। কিন্তু ভাবুন গোটা বিশ্বে সব মিলিয়ে ২৭ কোটি মোটরসাইকেল চলছে।'
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাকিনসি অ্যান্ড কোম্পানির দেওয়া তথ্যমতে, আগামী ১০ বছরে ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের বাজার হবে ৩০ থেকে ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।ফলে সময়ের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ওপর নির্ভরশিলতা বাড়বে। এই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েই ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের ওপর জোর দিচ্ছেন অ্যাডাম রিজওয়ে। তবে এর চ্যালেঞ্জও কম নয়। পরিবেশ বাঁচাতে চাইলে শুরুতে একটু ছাড় দিতেই হবে।
ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল একবারে অনেক দূর যেতে পারবে না। ব্যাটারির চার্জ কতক্ষণ থাকবে, তার ওপর এর রেঞ্জ নির্ভর করবে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল চার্জ দেওয়ার অবকাঠামোও তৈরি করতে হবে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, রিজওয়ে এরই মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কেনিয়াতে তাঁর ব্যবসা বিস্তার করেছেন। বৈশ্বিকভাবেও তিনি সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। ২০২৪ সালের মধ্যে তিনি দুবাই থেকে পুরোনো প্রযুক্তির দেড় হাজার মোটরসাইকেল হটাতে চান। বিশ্বের ১০০ শহরে নামাতে চান ১ লাখ ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল।