হোম > প্রযুক্তি

মহাকাশে স্যাটেলাইট বাড়াচ্ছে ওয়ানওয়েব

প্রযুক্তি ডেস্ক

মহাকাশে স্যাটেলাইটের সংখ্যা বাড়াচ্ছে মহাকাশ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওয়ানওয়েব। ওয়ানওয়েব হচ্ছে লন্ডনভিত্তিক স্যাটেলাইট অপারেটর। স্যাটেলাইটের সহযোগিতায় ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট স্পেসক্রাফটের ষষ্ঠ ব্যাচ উড়ানো হয়েছে। সামনে আরও স্যাটেলাইট পৃথিবীর অরবিটে পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে ওয়ানওয়েব। 

গত বছর দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল ওয়ানওয়েব। অথচ এই বছরই ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পৃথিবীর অন্যতম স্যাটেলাইট-টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি ইউটেলস্যাট থেকে ৫৫০ মিলিয়ন ডলারের মতো বিনিয়োগ পেয়েছে তাঁরা। ইউটেলস্যাট প্যারিসভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। 

ওয়ানওয়েব সম্প্রতি ৩২টি স্পেসক্রাফট মহাকাশে উড়িয়েছে। এর ফলে তাঁদের ইন-অরবিট নেটওয়ার্ক হয়েছে ১৮২। তবে পুরো পৃথিবীর সার্ভিস কভার করতে হলে তাঁদের ইন-অরবিট নেটওয়ার্ক হতে হবে ৬৪৮। পুরো পৃথিবীর সার্ভিস কভার করার লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ানওয়েব। 

ওয়ানওয়েবের নতুন চিফ এক্সিকিউটিভ নেইল মাস্টারসন বলেন, নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ানওয়েব। জিও স্যাটেলাইটের পাশাপাশি লিও স্যাটেলাইট সেবা চালু করা হয়েছে। 

ইউটেলস্যাটের চিফ এক্সিকিউটিভ রাডোলফ বেলমের বলেন, 'লিও আর জিও স্যাটেলাইট দিয়ে আমরা প্রতিযোগী যেকোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি সেবা দিতে পারবো। এ জন্য ওয়ানওয়েবের প্রযুক্তি উৎকর্ষতা আর পরিকল্পনা আমাদের পছন্দ হয়েছে।' 

প্রসঙ্গত, ওয়ানওয়েবের বেশির ভাগ মালিকানা ব্রিটিশ সরকারের। ভারতীয় কোম্পানি ভারতি গ্লোবাল মালিকানায় আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাতে ওয়ানওয়েবের স্যাটেলাইটগুলো বানানো হয়। এগুলো ইউরোপিয়ান কোম্পানি এয়ারবাসের সঙ্গে যৌথভাবে বানানো হয়। ওয়ানওয়েব তাঁদের স্যাটেলাইটগুলো রাশিয়ান সুয়োজ রকেটের সাহায্যে পাঠিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তাঁরা রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের সাহায্য নিয়ে থাকে। 

তবে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি লক্ষ্য রাখছে এসব স্যাটেলাইট কোম্পানিগুলো যেন মহাকাশের পরিবেশ নষ্ট না করে। এ জন্য ওয়ানওয়েবসহ এ ধরনের কয়েকটি কোম্পানিকে সতর্ক করেছে তাঁরা। 

ওয়ানওয়েবের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ম্যাসিমিলিয়ানো ল্যাডোভাজ বলেন, গ্রাহকদের সেবা দিতে নিজেদের অন-অরবিট সেক্টর বাড়ানো হচ্ছে। এ জন্য মহাকাশে আরও স্পেসক্রাফট এবং স্যাটেলাইট পাঠানো হবে। তবে মহাকাশের পরিবেশ এবং ট্রাফিকের বিষয়টিও মাথায় রেখে আগানো হচ্ছে। 

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিয়নের কর্মকর্তা এস থমাস বলেন, মহাকাশে যেন সুষ্ঠু পরিবেশ থাকে এ জন্য কাজ করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, ওয়ানওয়েবের প্রধান প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে স্টারলিংক। স্টারলিংক ইলনমাস্কের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক মহাকাশবিষয়ক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। আমাজনের বিশেষ প্রতিষ্ঠান কুইপার এবং কানাডিয়ান স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনস কোম্পানি টেলেস্যাটের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান লাইটস্পিডও ওয়ানওয়েবের অন্যতম প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে এই সেক্টরে কাজ করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনা সরকার নানারকম পরিকল্পনা করছে। 

২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ লাখ আইটি পেশাদার তৈরি করবে সরকার

চলতি বছরে শক্তিশালী ব্যাটারি প্রযুক্তি নিয়ে আসবে যেসব অ্যান্ড্রয়েড ফোন

ফুঁ দিয়ে গরম কফি ঠান্ডা করে দেবে এই বিড়াল রোবট

এক্সের অ্যালগরিদম সম্পর্কিত তথ্য চেয়েছে ইউরোপীয় কমিশন

যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম বন্ধ হবে, তবু বিক্রিতে রাজি নয় টিকটক

সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য হাতিয়ে নিতে রুশ হ্যাকারদের নয়া কৌশল

ফেসবুক প্রোফাইলে মিউজিক যুক্ত করবেন যেভাবে

স্যামসাংয়ের মিড রেঞ্জ ট্যাবের চিপসেট সম্পর্কে যা জানা গেল

সার্চ ইঞ্জিনের বাজারে আধিপত্য কমল গুগলের, মাইক্রোসফটের শেয়ার বাড়তি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফ্যাক্টচেকিং আইন মানবে না গুগল

সেকশন