হোম > প্রযুক্তি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এআই চিপ তৈরির কারখানা তৈরি করছে ফক্সকন

অনলাইন ডেস্ক

মেক্সিকোতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারখানা তৈরি করছে ফক্সকন। কারখানাটি মূলত এনভিডিয়া জিবি ২০০ সুপারচিপ উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে। এটি এনভিডিয়ার পরবর্তী প্রজন্মের ব্ল্যাকওয়েল কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা হয়। ফক্সকনের শীর্ষ নির্বাহীরা মঙ্গলবার এই তথ্য দিয়েছেন। 

বিশ্বের সবচেয়ে বড় চুক্তি ভিত্তিক ইলেকট্রনিকস প্রস্তুতকারক ফক্সকন এবং অ্যাপলের সবচেয়ে বড় আইফোন অ্যাসেম্বলার (ফোনের বিভিন্ন অংশ একত্রিত করে) হিসেবে পরিচিত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির প্রসারে কোম্পানিটির ব্যাপক লাভ হচ্ছে। কারণ এটি সার্ভারও তৈরি করে। 

উল্লেখ্য, জিবি ২০০ এনভিডিয়ার একটি নতুন প্রজন্মের সুপারচিপ বা গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ), যা প্রধানত এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এবং ডিপ লার্নিং এর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই চিপটি এনভিডিয়ার ব্ল্যাকওয়েল আর্কিটেকচারের অংশ এবং এটি বিশেষভাবে ডেটা সেন্টার এবং সুপার কম্পিউটিং এর জন্য ব্যবহৃত হবে। 

ফক্সকনের ক্লাউড এন্টারপ্রাইজ সলিউশন বিজনেস গ্রুপের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন টিং বলেন, তাঁর কোম্পানি এবং এনভিডিয়ার এর মধ্যে অংশীদারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

টিং তাইপেতে অনুষ্ঠিত কোম্পানির বার্ষিক ইভেন্টে তিনি বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জিবি ০০ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করছি। তবে কোথায় তৈরি হচ্ছে তা বলার সময় এখন হয়েছে নাকি নিশ্চিত নই। এই চিপের চাহিদা অনেক বেশি।’ 

আগস্ট মাসে এনভিডিয়া বলেছিল, ব্ল্যাকওয়েল চিপের ডিজাইন সংশোধন করার পর তা অংশীদার এবং গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ শুরু করেছে কোম্পানিটি এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে চিপগুলোর মাধ্যমে কয়েক কোটি ডলার আয় করার আশা করছে। 

তবে ফক্সকন চেয়ারম্যান ইয়াং লিউ বলেন, কারখানাটি মেক্সিকোতে তৈরি হচ্ছে এবং সেখানে এর ক্ষমতা ‘অত্যন্ত বেশি’ হবে। 

ফক্সকন ইতিমধ্যে মেক্সিকোতে একটি বড় উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করেছে এবং চিহুয়াহুয়া রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৫০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। 
লিউ বলেছেন, কোম্পানির সরবরাহ চেইন এআই বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত, এবং তিনি যোগ করেন যে, তাদের উৎপাদন ক্ষমতায় ‘উন্নত ঠান্ডা করার এবং তাপ অপসারণ প্রযুক্তি’ রয়েছে, যা জিবি ২০০ সার্ভারের অবকাঠামোর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। 

ফক্সকনের আরেকটি কেন্দ্রীয় লক্ষ্য হল অ্যাপলের জন্য ভোক্তা ইলেকট্রনিক তৈরি করার ছাড়াও অন্য কাজ করা। তারা আশা করছে, তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ব্যবহার করে চুক্তি ভিত্তিক উৎপাদন বৈদ্যুতিক যানবাহন শুরু করবে এবং ‘ফক্সকন’ নিজের ব্র্যান্ড নাম রেখে নিজেই গাড়ি উৎপাদন করবে কোম্পানিটি। 

বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক বাজারে চাহিদা কমার মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে, ফক্সকন লিউ বলেছেন, ‘এই খাতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এটি সঠিক পথ এবং আমরা সেই দিকে কঠোর পরিশ্রম করতে থাকব। এ ছাড়া গাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইঞ্জিন তৈরির বাধা আর নেই। কারণ কোন কোম্পানিই এখন পুরো গাড়ি তৈরি করে না।’ 

তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও ৩৬০ গ্যাজেটস

২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ লাখ আইটি পেশাদার তৈরি করবে সরকার

চলতি বছরে শক্তিশালী ব্যাটারি প্রযুক্তি নিয়ে আসবে যেসব অ্যান্ড্রয়েড ফোন

ফুঁ দিয়ে গরম কফি ঠান্ডা করে দেবে এই বিড়াল রোবট

এক্সের অ্যালগরিদম সম্পর্কিত তথ্য চেয়েছে ইউরোপীয় কমিশন

যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম বন্ধ হবে, তবু বিক্রিতে রাজি নয় টিকটক

সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য হাতিয়ে নিতে রুশ হ্যাকারদের নয়া কৌশল

ফেসবুক প্রোফাইলে মিউজিক যুক্ত করবেন যেভাবে

স্যামসাংয়ের মিড রেঞ্জ ট্যাবের চিপসেট সম্পর্কে যা জানা গেল

সার্চ ইঞ্জিনের বাজারে আধিপত্য কমল গুগলের, মাইক্রোসফটের শেয়ার বাড়তি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফ্যাক্টচেকিং আইন মানবে না গুগল

সেকশন