আজকের পত্রিকা ডেস্ক
জাপানে তুলনামূলকভাবে জনসংখ্যা কমেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে প্রয়োজনীয় শ্রমিকের ঘাটতিও রয়েছে। অনেকেই আশা করছেন এই ঘাটতি পূরণে ভূমিকা রাখতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। ইতিমধ্যেই অনেক কাজেই এআইয়ের ব্যবহার করা হচ্ছে দেশটিতে।
বিবিসি জানায়, জাপানে সাধারণত আংশিক নষ্ট, ক্ষতিগ্রস্ত, নিখুঁত নয় এমন পণ্য বিক্রি করাটা কঠিন। ফলে প্রতিটি পণ্যেই কঠোরভাবে মান যাচাই করাটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এ কাজে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠানই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত প্রযুক্তির সহায়তা নিতে বাধ্য হচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, করোনা মহামারির সময়ে দেশটির ওসাকা ওহশো নামের একটি ব্র্যান্ডের পণ্য গিওজার (একধরনের মমো) মান যাচাইয়ে জনবলের ঘাটতি দেয়। পণ্যের বাজার ধরে রাখতে এমন পরিস্থিতিতে এআইয়ের সহায়তা নেওয়ার কথা ভাবে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৩ সালের শুরুতে একটি উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন কারখানা খোলে তারা। এতে এআই-নিয়ন্ত্রিত ক্যামেরার মাধ্যমে ত্রুটিপূর্ণ গিওজা শনাক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে ব্যান্ডটির প্রতিষ্ঠান ইট অ্যান্ড হোল্ডিংসের মুখপাত্র কেইকো হান্ডা বলেন, ‘এআইয়ের মাধ্যমে আমরা উৎপাদন ক্ষেত্রে জনশক্তি প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়েছি। আর অন্যগুলোর তুলনায় উচ্চ প্রযুক্তির ওই কারখানাটিতে উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ গতি পেয়েছে।’
সম্প্রতি টোকিওর একটি রেস্তোরাঁয় আই-রোবো নামের একটি এআই-চালিত বাবুর্চি রোবট চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যেহেতু শেফদের প্রশিক্ষণ দিতে সময় লাগে তাই কোম্পানি বলেছে, এআই প্রযুক্তি শ্রমের ঘাটতি সমস্যায় সাহায্য করবে।
বিশ্বব্যাপী এআইয়ের ব্যবহার বাড়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে চাকরি হারাবে মানুষ। তবে এআইয়ের উপকারী দিকের কথাও বলছেন কেউ কেউ।