অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন নির্বাচনী মৌসুমে ওপেনএআই–এর ‘ডাল–ই’ ইমেজ জেনারেটর ব্যবহার করে ডিপফেক তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন অনেকেই। তবে এই ধরনের ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ডিপফেক তৈরি ঠেকিয়েছে চ্যাটজিপিটি।
ওপেনএআইয়ের নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, জেমস ডেভিড ভান্স এবং গভর্নর ওয়ালজ-এর ভুয়া ছবি বা ডিপফেক তৈরির জন্য চ্যাটজিপিটিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এসব অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে সক্ষম হয় চ্যাটবটটি। ওপেনএআই আগেই একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যুক্ত করে, যার মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি বাস্তব মানুষের বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের ছবি তৈরি করতে অস্বীকৃতি জানাবে।
চলতি বছরের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওপেনএআই। এর টুলগুলো যেন মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত না হয়, এ জন্য বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছে কোম্পানিটি। এই কৌশল নিশ্চিত করে যে, যারা চ্যাটজিপিটিতে ভোট দেওয়ার বিষয় জানতে চায়, তাদের তথ্যের জন্য CanIVote.org–ওয়েবসাইটে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওপেনএআই জানিয়েছে, নির্বাচনের এক মাস আগে ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ উত্তর তৈরি করে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের ওই ওয়েবসাইটে পাঠিয়েছে। মার্কিন নির্বাচনের দিন এবং তার পরবর্তী দিনেও চ্যাটবটটি ২ মিলিয়ন বা ২০ লাখ উত্তর তৈরি করেছে। এসব উত্তরের মাধ্যমে ভোটের ফলাফল জানতে চাওয়া ব্যক্তিদের অ্যাসোসিয়েট প্রেস, রয়টার্সসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের কাছে পাঠানো হয়। এ ছাড়া ওপেনএআই নিশ্চিত করেছে যে, চ্যাটজিপিটি এর উত্তরগুলো ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব’ প্রকাশ করেনি বা ভোট দেওয়ার জন্য কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করেনি। এমনকি এই ধরনের প্রশ্নগুলো স্পষ্টভাবে করা হলেও।
ডাল–ই একমাত্র এআই ইমেজ জেনারেটর নয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনের সম্পর্কিত অনেক ডিপফেকও ছড়াচ্ছে। এর মধ্যে কমলা হ্যারিসের একটি ডিপফক ভিডিও দেখা যায়। যেখানে কমলা হ্যারিসকে এমন কথা বলতে বোঝায় যা তিনি কখনো বলেননি।
উদাহরণস্বরূপ, ভিডিওতে বলা হয় ‘আমি নির্বাচিত হয়েছি কারণ আমি সর্বোচ্চ ডাইভার্সিটি হায়ার।’ এই ধরনের ভুয়া ভিডিওগুলো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।