অনলাইন ডেস্ক
সুপার কম্পিউটারের জন্য এনভিডিয়া কোম্পানির নতুন ‘ব্ল্যাকওয়েল’ চিপের প্রথম চালান গ্রহণ করবে সফটব্যাংকের জাপানের টেলিকম ইউনিট। বহুজাতিক কোম্পানিটির প্রধান মাসায়োশি সন বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে তাদের কোম্পানির ব্যবসায়িক উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সুপার কম্পিউটারের জন্য এনভিডিয়ার গ্রেস ব্ল্যাকওয়েল চিপও ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে সফটব্যাংক। এ নিয়ে গত বুধবার জাপানের টোকিওতে একটি এআই ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে সফটব্যাংক গ্রুপের সিইও মাসায়োশি সন এবং এনভিডিয়ার সিইও উপস্থিত ছিলেন।
মাসায়োশি সন তার বিশাল ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিপ্লবের সঙ্গে যুক্ত করতে চাপ দিচ্ছেন। তিনি ওপেনএআইতে একটি অংশীদারত্ব গ্রহণ করেছেন এবং চিপ স্টার্টআপ ‘গ্রাফকোর’ অধিগ্রহণ করেছেন। তবে কিছু বছর ধরে চলা অস্থিরতার কারণে তাকে ব্যবসার ব্যয় সংকোচন করতে হয়েছিল।
এই ইভেন্টে দুই ব্যবসায়ীর আলোচনা করেন। যেখানে জেনসেন হুয়াং স্মরণ করেন যে, একসময় মাসায়োশি সন তাকে এনভিডিয়া কেনার জন্য অর্থ ধার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কারণ সেই সময়ে বাজারে এনভিডিয়ার মূল্য সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছিল না।
জেনসেন হুয়াং মজা করে বলেন, এনভিডিয়াকে কিনে নেওয়ার জন্য অর্থ ধার দিতে চান সন। তবে আমি এখন তা না নেওয়ার জন্য অনুশোচনায় ভুগছি।
সন বলেন, চিপ ডিজাইনার আর্মকে কিনে নেওয়ার এক মাস পর এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়। এরপর তার
জাপানি বিলিয়নিয়ার সন এনভিডিয়ায় শেয়ার বিক্রি করেন এবং এরপর এনভিডিয়া কোম্পানির কাছে আর্ম বিক্রির চেষ্টা করেন, যা নিয়ন্ত্রক বাধার কারণে ব্যর্থ হয়।
গেমিংয়ের জন্য চিপ ডিজাইনের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল এনভিডিয়া। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপের জন্য বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান কোম্পানি হয়ে উঠেছে এনভিডিয়া।
দূরদর্শী বিনিয়োগকারী হিসেবে সনের পরিচিত আছে। তিনি নতুন উদ্যোক্তা ও আলিবাবা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। তবে কিছু উইওয়ার্কের মতো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেও তিনি আর্থিক ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী টেলিকম কোম্পানিগুলো নতুন প্রবৃদ্ধির খোঁজে থাকায়, সফটব্যাংক এনভিডিয়ার সঙ্গে নেটওয়ার্ক বিষয়ক পাইলট প্রকল্পে অংশীদারত্ব করেছে। এই প্রকল্পে ৫জি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উভয় সেবা একসঙ্গে পরিচালনা করবে।
দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে সাদৃশ্যের কথা উল্লেখ করে সন বলেন, ‘একে অপরের মধ্যে আমরা একই দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে পারছি, ঠিক যেমন একটি নেকড়ের গন্ধ নেকড়েকে টানে।’
তথ্যসূত্র: রয়টার্স